খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি
সিরাজগঞ্জে ডিলারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের মামলা
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির জন্য নিয়োগ দেওয়া এক ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১৫ টাকা কেজি দরের চাল হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি না করে তা আত্মসাতের অভিযোগে সলঙ্গা থানায় মামলাটি করেন চাল তদারকি কর্মকর্তা রায়গঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী সঞ্জিত কুমার রায়। ওই ডিলারের নাম আবুল হাশেম। তাকে ধুবিল ইউনিয়নের তালতলা অঞ্চলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরের দিকে ডিলার আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে এক তদারকি কর্মকর্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন।
হতদরিদ্র ভুক্তভোগী চান বিবি ও রমজান আলীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কার্ডধারী অভিযোগ করে বলেন, সরকার দুমাসের দুই বস্তা চাল একসঙ্গে দিছে। কিন্তু এ ডিলার আমাদের এক বস্তা দিয়ে পরে দেখা করতে বলে। অথচ খাতায় দুই জায়গায় সই নেন। তবুও তার দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আমরা দেখা করলে হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে চাল শেষ। এক বস্তা চালের দাম কি ৫০০ টাকা হয়?
মামলার বাদী তদারকি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, আমার উপস্থিতিতে ৪৯৬ জন কার্ডধারীদের দুমাসের ৩০ কেজি ওজনের দুই বস্তা করে চাল বিক্রি করার কথা। কিন্তু ডিলার আমার উপস্থিতিতে দুই বস্তা করে চাল বিক্রি করলেও গোপনে এক বস্তা বিক্রি করে মাস্টাররোলের দুই জায়গায় সই নেন। পরে তাদের রোববার দেখা করতে বলে। সেদিন এলে আরও এক বস্তা করে চাল না দিয়ে ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হতদরিদ্রদের টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত ডিলার আবুল হাশেম জাগো নিউজকে বলেন, আমার পরিচিত কিছু কার্ডধারীরা চাল এক বস্তা নিয়ে আরেক বস্তা বিক্রি করেছিল। কিন্তু এ জন্য যে এতো ঝামেলা হবে, আমি বুঝতে পারি নাই।
এ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ওই ডিলারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ডিলার বাতিল করা হবে।
এম এ মালেক/এসজে