ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৭ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগে মই

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বারইয়া নদের ওপর সেতু নির্মাণের চার বছর পরও দুইদিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থায় দুইপাড়ের ১৫ গ্রামের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে সেতুতে ওঠার জন্য বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মই তৈরি করে কোনোরকমে যাতায়াত করছেন।

উপজেলার কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বারইয়া গ্রামের নদের ওপর এ সেতুটি অবস্থিত। এটি মূলত বারইয়া, ঝিকিরা ও কালিগঞ্জসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের উপজেলায় যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সেতুটি মূল সড়ক থেকে প্রায় ছয় ফুট উঁচু। তাই বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সেতুর দুই দিকে মই তৈরি করেছে স্থানীয় লোকজন। এতে যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও পথচারীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন শতশত মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। সেতুর নির্মাণকাজ চার বছর আগে শেষ হলেও দুইপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ১৫ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

কালিগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। চার বছর আগে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি কমেনি। এটা নিয়ে কতবার দেনদরবার করা হলো উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু কাজ আর হচ্ছে না। শুধু বলা হয় এই হচ্ছে, এই হচ্ছে।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, আগে খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হতাম। তাও এত কষ্ট হতো না। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি করে দিলেও উঠতে হয় মই দিয়ে। এ সেতু কোনো কাজেই আসছে না। সেতুতে সাইকেল নিয়েও ওঠা যায় না। আমরা চাই দ্রুত এই সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হোক।

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, বাজারে ধান নিয়ে যাওয়া যায় না। আগে ঘাটে নৌকা থাকতো। এখন সেতু হয়েছে তাই আর নৌকাও পাওয়া যায় না। শুধু শুনি ঠিক করে দেবে, তা তো দেয় না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাত কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ চার বছর আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। তবে এরইমধ্যে অধিগ্রহণ শাখা ভূমি জরিপের কাজ শেষ করেছে। আশা করছি, দ্রুত স্থানীয়দের এ ভোগান্তি দূর হবে।

এ প্রসঙ্গে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে এ ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি পরিদর্শন করেছি। শিগগির সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

এম এ মালেক/এমআরআর/এএসএম