১২ দিন পর বিদ্যুৎ পেল থানচিবাসী
বান্দরবানের থানচিতে ১২ দিন পর বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে বন্যা ও পাহাড় ধসের ফলে এ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতেই ভারী বর্ষণে বান্দরবান-থানচি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে বিদ্যুৎয়ের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই সঙ্গে থানচির সঙ্গে অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা শহরে প্রায় সব জায়গা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
থানচি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা (অনুপম) বলেন, ১২ দিন পর বিদ্যুৎ পেয়েছে থানচিবাসী। সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ নেই বেশিরভাগ এলাকায়
থানচি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, ১২ দিন পর থানচিবাসী বিদ্যুৎ পেয়েছে। আধুনিক সভ্যতার যুগে বিদ্যুৎ থাকলে ৯০ শতাংশ সমস্যায় সমাধান হয়ে যায়। থানচি এলাকায় আবারও মানুষের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে ও জনজীবন স্বাভাবিক হবে।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম জাগো নিউজকে জানান, বান্দরবানে চলতিমাসের শুরুর দিকে অতিবর্ষণে সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুঁটি উপড়ে রুমা-থানচিসহ বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় শত কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১২ দিন পর বান্দরবান-থানচি বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়েছে।
নয়ন চক্রবর্তী/জেএস/জেআইএম