ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে রেললাইনে বেড়া, তদন্তে প্রশাসন

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রেললাইনে বাঁশের বেড়া দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

ঘটনার পরদিন সোমবার (১৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভুক্তভোগী শাহানুর সরকারের সেই জায়গা পরিদর্শন করেছেন আখাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।

jagonews24

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের জন্যে অধিগ্রহণ করা জায়গার টাকা ২০১৭ সালেই মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ আগস্ট) এ রেলপথে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন শাহানুর সরকার নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, তার জায়গার ওপর দিয়ে রেললাইন তৈরি করা হয়েছে কিন্তু তিনি অধিগ্রহণের টাকা পাননি। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, দুপুরে অভিযোগকারী ব্যক্তির জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৬ আগস্ট জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার এবং রেলওয়ের প্রকৌশলী উপস্থিত থেকে জায়গাটি শনাক্ত করে বিস্তারিত জানাবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: জমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে রেললাইনে বেড়া দিলেন শাহানুর

ভুক্তভোগী শাহানুর সরকার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে। অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে রোববার (১৩ আগস্ট) মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনে বাঁশের বেড়া দেন তিনি।

jagonews24

শাহানুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রবাসে ছিলাম। ফেরার পর এখন অসুস্থ। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে আমার ২৬ শতাংশ জায়গা পড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের সময় আমার শীবনগর মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭ শতকসহ দুই দাগে মোট ২৬ শতক জমি রেলওয়ে অধিগ্রহণ করে নেয়। আমার জায়গা দখলের দীর্ঘদিন পর এর ওপর রেললাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমার এ জায়গার মূল্য এখনো এক টাকাও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।’

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস