ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বান্দরবানে পাহাড়ধস

মানবেতর জীবন কাটছে রুমা-থানচির বাসিন্দাদের

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৩

বান্দরবানে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক নীলগিরি পোড়া বাংলা এলাকায় গিয়ে পাহাড়ধসে সড়ক ভেঙে যাওয়ার এ চিত্র দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি পাহাড়ধসে বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক নীলগিরি পোড়া বাংলা এলাকাসহ বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ভেঙে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই সড়ক মেরামত করতে বা যোগাযোগ উপযোগী করতে মাসেরও অধিক সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

১৬ মেইল এলাকার বাসিন্দা রিং ত্লাং বম (২৫) জানান, পাহাড় ধসে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যাওয়ায় কোনো প্রকার গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্থানীয়রা।

চিম্বুক ১৬ মেইল বাগান পাড়ার বাসিন্দা মেন রাও ম্রো বলেন, ৭ তারিখ বাসার জন্য বাজার সদায় নিতে চিম্বুক বাজারে গিয়ে ৮ তারিখ সকালে ফেরার পথে পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। পরে কোনো প্রকারে প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

jagonews24

টংকাবতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্লুকান ম্রো জানান, টানা ৮ দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে এই রাস্তাটি পুরো ধসে গেছে। এই রাস্তা ধসে যাওয়ার কারণে কোনোদিকে সড়ক পথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এলাকাবাসী খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশের (২০ ইসিবি) ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান, বান্দরবান থেকে রুমা, বান্দরবান থেকে চিম্বুক-নীলগিরি-থানচি সড়কটি দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার বান্দরবান থেকে ওয়াইজংশন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী করা হবে। আগামীকাল আরও কয়েকটি টিম যোগ হবে। চিম্বুক ও নীলগিরি মধ্যবর্তী পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার ধসে যাওয়া সড়কে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, গতকাল পর্যন্ত জেলায় বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ হাজার ৫৭৮ টি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানানো যাবে।

নয়ন চক্রবর্তী/এফএ/জিকেএস