ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বেড়েছে উৎপাদন খরচ, এক ডিমের দামই ১৪ টাকা

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ১০ আগস্ট ২০২৩

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকা। আর প্রতিপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকায়। উপজেলার বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, মিঠাছড়া ও মিরসরাই সদরের পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ডিমের আড়তের মালিক নিজাম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন ধরে ডিম বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমি এক ডজন ডিম পাইকারি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি করছি। খামারি থেকে এক ডজন ডিম কিনেছি ১৫০ টাকা করে। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরি রয়েছে। ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে না পারলে আমাদের লাভ হবে না।

কমলদহ বাজারের সেলুন দোকানদার আবু চন্দ্র নাথ বলেন, বাচ্চার জন্য ডিম কেনা লাগে। এখন ডিমেরও দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগেও এক হালি ডিম নিয়েছি ৪৮ টাকায়। এখন নিতে হচ্ছে ৫৬ টাকায়।

আরও পড়ুন: ডিমের হালিতে হাফ সেঞ্চুরি, চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ

মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার দোকানি আব্দুল করিম বলেন, আমি আড়ৎ থেকে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকা করে কিনেছি। গাড়ি ভাড়া আছে, তার মধ্যে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি পিস ১৪ টাকায় বিক্রি না করলে আমার লাভ হবে না।

তবে ডিমের দাম বৃদ্ধির পরও মুরগীর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা লোকসানে রয়েছে বলে জানান একাধিক খামারি।

উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের তুহিন এগ্রোর মালিক আব্দুল আউয়াল তুহিন বলেন, ডিম উৎপাদনে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে গত ৬মাস ধরে আমি এই ব্যবসা আর করছি না। মুরগীর শেড অন্যকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। এখন দাম বাড়লেও কয়েকদিন পর আবার কমে যাবে। খাদ্যের দাম তো আর কমবেনা।

উপজেলার করেরহাট একরাম পোলট্রির মালিক মো. একরামুল হক বলেন, আমার খামারে পাঁচ হাজার লেয়ার মুরগী রয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ হাজার ৫০০ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমে উৎপাদন খরচ পড়ছে ১১টাকা ৭০ পয়সা। আমরা পাইকারিভাবে ১২ টাকা ২০ পয়সায় ডিম বিক্রি করছি। তবে খুচরা দোকানে হয়তো বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হিটস্ট্রোকে মরছে মুরগি, কমেছে ডিম উৎপাদন

বড়কমলদহ এলাকার খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, খাদ্যের দাম, শ্রমিকের মজুরি, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের তেমন লাভ হচ্ছে না। তবে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে প্রতি পিস ডিমে ২ থেকে ৩ টাকা লাভে বিক্রি করছে।

জেএস/এএসএম