পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধর, শিক্ষক অবরুদ্ধ
কুমিল্লার দেবীদ্বারে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বেলাল হোসেন নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার এলাহাবাদ পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অবরুদ্ধ বেলাল হোসেন একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এলাহাবাদ পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলটিতে গত কয়েকদিন ধরে পানি ওঠে না। যে কারণে রোববার (৩০ জুলাই) কয়েকজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে পানি পান করতে স্কুল আঙিনা থেকে একটু দূরে যায়। পরে তারা ক্লাসে ফিরলে বেধড়ক মারধর করেন সহকারী শিক্ষক বেলাল হোসেন। এতে এলাহাবাদ পূর্ব পাড়ার সুলতান আহমেদের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার (১০) মারাত্মকভাবে আহত হয়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজ দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় তার শাস্তি দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
আহত শিক্ষার্থী ফারজানার বড় ভাই রোবেল হোসেন জানান, তার বোনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেনকে একাধিকবার কল করলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করেছি বেশিদিন হয়নি। বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলার কোনো আইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালায় নেই। আমরা ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি।’
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা বলেন, এ ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এএসএম