স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মামলায় এবার নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কারাগারে
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে জেলে পাঠান আদালত। এর পরদিনই আফতাব হোসেন খানের করা নির্বাচনী সহিংসতা মামলায় এবার কারাগারে পাঠানো হয়েছেন সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আবদুল্লাহসহ ১১ জনকে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দিন এ আদেশ দেন। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন।
আরও পড়ুন: সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব কারাগারে
গেলো সোমবার কাউন্সিলর আফতাব হোসেন জামিন চাইতে এলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে আফতাবের করা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল বলেন, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার মামলায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জন উচ্চ-আদালত থেকে ডাইরেকশনে ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক আসামিরা সিলেট মহানগর দায়রা জজের আদালতে আজ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ফলে সিসিকের আলোচিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলর দুজনই নির্বাচনী সহিংসতার পাল্টাপাল্টি করা মামলায় কারাগারে গেলেন।
সাঈদ মো. আবদুল্লাহ ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া, রাজন আহমদ।
ছামির মাহমুদ/এসজে/এএসএম