ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বদলে যাবে এলাকার অর্থনীতি

৮৫ ভাগ শেষ ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনিকায়ন

লিপসন আহমেদ | প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩

প্রায় ১৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনিকায়নের ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ক্লিংকার ও ৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন হবে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে দেশে যেমন সিমেন্টের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে তেমনি দেড় যুগ ধরে লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জ থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিল্পনগরী ছাতক উপজেলা। এই উপজেলার সুরমা নদীর পাড়ে দেশের একমাত্র সরকারি ছাতক সিমেন্ট কারখানাকে ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। নতুন রোপওয়ে, ক্রাশার, প্রি-হিটার, ভার্টিক্যাল রোলার মিল ও সিমেন্ট মিল, ক্লিংকার সাইলো, প্যাকিং প্ল্যান্ট, ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে।

জানা যায়, ৮৫ বছরের পুরনো এ কারখানাটি গত দেড় যুগ ধরে লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয় ছাতক সিমেন্ট কারখানায়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে কারখানাটির উৎপাদন।

এর দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ৫০০ মেট্রিক টন থেকে ২০০ মেট্রিক টনে নেমে আসে। ফলে ২০১১-১২ অর্থবছরে কারখানাকে লোকসান গুণতে হয় ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ক্রমান্বয়ে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ও ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২১ কোটি টাকা লোকসান হয়।

৮৫ ভাগ শেষ ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনিকায়ন

পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার এই সিমেন্ট কারখানাকে আধুনিকায়নের জন্য ৮৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে চীনের নাং জি সি হোপ ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরের কাজ শুরু করে। কিন্তু পরবর্তীতে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৪১৭ কোটি টাকা ধরা হয়।

নতুন এই প্ল্যান্ট চালু হলে প্রতিদিন দেড় হাজার টন ক্লিংকার উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে বিক্রি করা হবে, যার বাজার মূল্য ৮০ লাখ টাকা। একইসঙ্গে ৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হবে যার বাজার মূল ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া বছরে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন ক্লিংকার ও দেড় লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হবে। যা থেকে সরকার বছরে রাজস্ব পাবে ৮০ কোটি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কারখানাটি চালু হলে এখানকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মস্থানের সুযোগ হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চল চাঙ্গা হবে।

নতুন ড্রাই প্রসেস প্রজেক্টের ডিপিডি আব্দুর রহমান বাদশাহ জাগো নিউজকে বলেন, কারখানাটি চালু হলে লাভজনকভাবে চলবে। পরিবেশবান্ধবও হবে। ২০২৫ সালের জুন মাসে এই কারখানাটি চালু করা হলে এখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মস্থান হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চল চাঙ্গা হবে।

এফএ/জেআইএম