ফেনীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত
ফেনীতে পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, বিএনপির নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ফেনী শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোড়স্থ দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন।
ইসলামপুর রোড়ে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে থামিয়ে দেয়। পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজনৈতিক পক্ষের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সংগ্রহের সময় মোহনা টিভি ও স্থানীয় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয় ও মুস্তাফিজ মুরাদ আহত হন। পত্রিকাটির সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, আহত সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জাগো নিউজকে বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে ওঠে। সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসজে/এএসএম