ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

জনতা ব্যাংকের সেই পিয়ন ৩ দিনের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৩

সিরাজগঞ্জে জনতা ব্যাংকের শাহজাদপুর শাখার গ্রাহকদের অন্তত পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার পিয়ন আওলাদ হোসেন রঞ্জুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) গোপাল কুমার আসামিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে শাহজাদপুর আমলি আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শাহজাদপুর থানার এসআই গোপাল কুমার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) ভোরে গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রঞ্জুকে গ্রেফতার করে শাহজাদপুর থানাপুলিশ।

আরও পড়ুন: গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও জনতা ব্যাংকের পিয়ন

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রঞ্জু জানান, তিনি ২০১৬ সালে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেন। সেসব ঋণের কারণে প্রতি সপ্তাহে তাকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। এ কিস্তি পরিশোধে তিনি ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ শুরু করেন। ব্যাংকে লম্বা লাইন থাকলে পরিচিত গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরে জমা দেওয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করতেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক ও জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ৬ জুলাই এক গ্রাহক তার হিসাব থেকে পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করতে আসেন। তিনি টাকা উত্তোলনের চেক কাউন্টারের জমা দিলে জানতে পারেন হিসাবে কোনো টাকা নেই। তিনি ২ জুলাই রঞ্জুর মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন বলে শাখা ব্যবস্থাপককে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে রোববার (৯ জুলাই) শতাধিক গ্রাহক তাদের হিসাবেও টাকা না পেয়ে ব্যবস্থাপকের কক্ষ ঘেরাও করে। পরে পুলিশে খবর দিলে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাসে ফিরে যান।

অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন রঞ্জু শাহজাদপুর পৌরসভার পাড়কোলা মহল্লার মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে। তিনি উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতারণা করে শতাধিক গ্রাহকের অন্তত পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন পিয়ন রঞ্জু।

শাহজাদপুর জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ২৫ গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তবে টাকার প্রকৃত সংখ্যা ব্যাংকের অডিট না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিদিষ্ট করে বলতে পারছি না।

এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস