রোহিঙ্গাদের নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করেন বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকায় পুলিশ পরিচয়ের ছিনতাইয়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। গ্রেফতারদের মাঝে একজন বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলও রয়েছেন।
রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টিভি টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতাররা হলেন, সুনামগঞ্জের রতিস দাসের ছেলে ও চাকরিচ্যুত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল নিরঞ্জন দাস (২৫), কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের শোয়াইবের ছেলে মো. সাদেক (২৩), কুতুপালং এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহিন আলম (২০) ও মৃত নুরুল কবিরের ছেলে মো. আসলাম (২০)।
দুইবছর আগে নিরঞ্জন দাসকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানান ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: ৪০ বরফকলের টিকে আছে আটটি, দুর্দিনে মালিক-শ্রমিক
অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, পুলিশ পরিচয় দিয়ে সুকৌশলে প্রতিনিয়ত মোবাইল ছিনতাইসহ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চোর চক্র। তাদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকেই। সর্বশেষ গলায় ছুরি ধরে মোবাইল ছিনতাই ও পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে একজনের মোবাইল ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রের সদস্যরা। ঘটনাটি নজরে এলে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৯ জুলাই সন্ধ্যায় টিভি টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদের গ্রেফতারের পর, রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া মাঝেরপাড়া এলাকার হাজী রশিদ আহমদের ছেলে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীর অভিভাবক মো. আবছার উখিয়া থানায় মামলা করেছেন।
আবছার বলেন, শুক্রবার আমার ভাগিনা হুজাইফা কুতুপালং দোকান থেকে আসার সময় মোবাইল ও সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় নিরঞ্জন দাসসহ চক্রের সদস্যরা। এসময় তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক জানায়, রোববার সন্ধ্যায়ও ছিনতাই করতে পুলিশের মতো করে তল্লাশি করছে এমন খবর পেয়ে কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করা চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে চারটি মোবাইল ও দুটি সিএনজি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সায়ীদ আলমগীর/জেএস/এমএস