মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
১১ বছর পর সিজার, হাসি ফুটেছে প্রসূতির
হবিগঞ্জের মাধবপুর ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১১ বছর পর সিজারিয়ান অপারেশন ফের চালু হয়েছে। পৌরশহরের কাটিয়ারা গ্রামের পাপড়ি রানী পাল প্রথম প্রসূতি হিসেবে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপরে এ সেবার উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত বিন কুতুব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ এইচ এম ইশতিয়াক আল মামুন, মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকসহ সাংবাদিক ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এইচ এম ইশতিয়াক মামুন বলেন, ৩১ শয্যা থেকে এ হাসপাতালকে কয়েক বছর আগে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১১ বছর পর সিজারিয়ান সেকশন (সিজার অপারেশন) চালু হলো।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য সরকারি সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও চালু করতে পারাই আমাদের কাছে আনন্দের। এ সেবা চলমান রাখতে আমি কাজ করে যাবো।
মাধবপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান বলেন, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে জেলা সদরে যাওয়া বা প্রাইভেট ক্লিনিক ছাড়া বিকল্প উপায় ছিল না। বর্তমানে হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই দরিদ্র অসহায়রা সিজারিয়ান সেবা হাসপাতালে পাবেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/জেআইএম