নির্জন হাওরের শ্মশানঘাটে পড়ে ছিল ফুটফুটে নবজাতক
চারদিকে থই থই পানি। মাঝে উঁচু একটুখানি জায়গা নিয়ে শ্মশানঘাট। নির্জন এ শ্মশানঘাটে পড়েছিল ফুটফুটে নবজাতক। এক কিংবা দুদিন বয়সী ওই নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
ঘটনাটি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের গাগলাজুর গ্রামের। ওই গ্রামের চৌরাপাড়া শ্মশানঘাটে পড়ে ছিল নবজাতকটি। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, নবজাতকটি এলাকারই কারও হবে। কেউ হয়তো নির্জন এ শ্মশানঘাটে ফুটফুটে মেয়ে শিশুটিকে ফেলে গেছে। সময়মতো মানুষের চোখে পড়ায় প্রাণে বেঁচেছে শিশুটি।
নবজাতকটির বয়স এক থেকে দুদিন হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার স্ত্রী জয়বানু ও ছেলে তপন মিয়া চৌরাপাড়া শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। নবজাতকটি হঠাৎ তাদের চোখে পড়ে।
মাসুল তালুকদার বলেন, উঁচু শ্মশানঘাটটির চারদিকে পানিতে ঘেরা। আশপাশে কোনো লোকজন না থাকায় জয়বানু ও তার ছেলে নবজাতকটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন নবজাতকটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরও জানান, নবজাতক শিশুটি মেয়ে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জেনেছি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নবজাতকটির মা-বাবার কোনো সন্ধান মেলেনি। মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে নিজেদের কাছে যত্নে রেখেছেন। বুধবার (৫ জুলাই) সকালে গিয়ে নবজাতকটিকে দেখে তার লালন পালনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দাবিদার কাউকে না পেলে সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়মানুযায়ী নবজাতকের বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এইচ এম কামাল/এএএইচ