ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিক্রি হয়নি সাড়ে ৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া ‘জমিদার’, এখন ভরসা কসাই

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৩

কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রায় তিন বছর ধরে লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছিল 'জমিদার' নামের শাহিওয়াল জাতের গরুটি। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার খোপাতি গ্রামের আশরাফুল মাষ্টারের খামারে বেড়ে উঠা ‘জমিদার’ শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি।

আশরাফুল মাষ্টার জানান, প্রতিদিন তিন কেজি খুদ চালের ভাত, চার কেজি ভুসি, চার কেজি ধানের গুড়া এবং কলাসহ ১৯/২০ কেজি নেপিয়ার ঘাস খায় 'জমিদার'। এছাড়া দেশি ঘাস ও লতাপাতা তার বেশ পছন্দ। আট ফিট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন জমিদারের দুটি দাঁত রয়েছে। বর্তমান ওজন ৯০০ কেজির বেশি।

আশরাফুল বলেন, জমিদারের পেছনে গত তিন বছরে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আশা ছিল সাড়ে ছয় লাখ টাকা দাম পেলেই বিক্রি করবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার দাম উঠেছে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই দামে বিক্রি হলে লোকসান গুনতে হবে। তাই বিক্রি করিনি। অনেক আদর যত্ন করে গরু লালন-পালন করার পর যদি ন্যায্য দাম না মেলে তাহলে আমার মতো প্রান্তিক খামারিরা হতাশ হয়ে পড়বেন। ঈদ শেষে এখন কসাইয়ের মাধ্যমে বিক্রির চিন্তা করছি।

বিক্রি হয়নি সাড়ে ৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া ‘জমিদার’, এখন ভরসা কসাই

আরও পড়ুন: সাড়ে ৬ লাখে বিক্রি হবে ২২ মণের ‘জমিদার’

জমিদার নাম রাখার কারণ প্রসঙ্গে আশরাফুল জানান, গরুটির খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরায় বেশ জমিদারি ভাব, তাই বাসার সবাই আদর করে জমিদার বলে। ওই নামে ডাকলে সাড়াও দেয় গরুটি।

জানা গেছে, জমিদার দেশি ও প্রকৃতি নির্ভর খাবার খেয়ে অভ্যস্ত। একারণে দেখতেও অনেক স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী। হৃষ্টপুষ্ট এই জমিদারকে ঘিরে এলাকার মানুষের ছিল কৌতূহল। কিন্তু দামের সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার মনের মিল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি।

ওই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, আশরাফুল এবং তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের পরম মমতায় বেড়ে উঠছে জমিদার। প্রতিদিন তার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় হয়। ঈদের বাজারে ন্যায্য দামের আশায় ছিলেন তারা। কিন্তু সেটা মেলেনি। এভাবে গরু লালন-পালন করার পর যদি ন্যায্য দাম না পাওয়া যায় তাহলে খামারিরা হতাশ হয়ে পড়বেন।

জিতু কবীর/জেএস/জেআইএম