ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে কাঁচা মরিচ

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০১ জুলাই ২০২৩

ফরিদপুরে কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০ টাকা ছুঁয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) সকালে শহরের অম্বিকাপুরের বিভিন্ন দোকানে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান।

শহরের আলীপুরের ওয়ালি নেওয়াজ বাবু বলেন, বাড়ির পাশের অম্বিকাপুর বাজারে মরিচ কিনতে যাই। এসময় একজন বিক্রেতা ৮০০ টাকা কেজি দাম চান। পাশের আরেকজন বিক্রেতা চেয়েছেন ৭০০ টাকা কেজি। শহরের হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারেও একই দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।

ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে কাঁচা মরিচ

বোয়ালমারী বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর পর্যন্ত এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের কড়া ঝাল

মধুখালীর মেকচামি গ্রামের বাসিন্দা ইনামুল খন্দকার বলেন, পাইকারি বাজারে কৃষকেরা এক মণ কাঁচা মরিচ ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এবার মৌসুমের শুরুতে প্রচণ্ড খরায় মরিচের তেমন ফলন হয়নি। এরপর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের গাছে এখন মরিচ নেই। এজন্য দাম বেড়ে গেছে।

ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে কাঁচা মরিচ

মধুখালীর মেকচামি ইউনিয়নের বামুন্দি গ্রামের মরিচচাষি উত্তম রায় জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ করে এবার মরিচের দাম বাড়লেও অসাধু ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটছে। শনিবার সকালে মধুখালী আড়তে নিয়ে ১৮ হাজার থেকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করেছি। কৃষকের হাত ঘুরে কেজিতে কয়েকশো টাকা বেশি দামে পাইকারি বাজারে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মরিচ।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা সদরের মরিচ বাজারের আড়তদার মো. আলম জাগো নিউজকে বলেন, দফায় দফায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে ২০ হাজার টাকা দরে প্রতি মণ মরিচ কিনেছি। সে হিসাবে কেজি পড়ে ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারে যে যেভাবে পারছে বিক্রি করছে। খুচরা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি আরও জানান।

ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে কাঁচা মরিচ

এ ব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কৃষি বিভাগের তদারকি করার কথা। আমাদের মাত্র একজন জনবল রয়েছে। তাও এখন চামড়ার বাজার নিয়ে ব্যস্ত। তারপরেও বাজারে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদপুর জেলায় এবার তিন হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। জেলায় মধুখালী উপজেলায় মরিচের চাষ বেশি হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জেআইএম