ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাগনাতেও খাসির চামড়া নিচ্ছেন না ফড়িয়ারা

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৬:৫৯ পিএম, ২৯ জুন ২০২৩

ময়মনসিংহ মাগনাতেও খাসির চামড়া নিচ্ছেন না ফড়িয়ারা। খাসির চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। অনেকেই আবার জোর করে ফ্রিতেই ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাসির চামড়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে মহানগরীর ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম একটি খাসি কোরবানি দিয়েছেন। কিন্তু খাসির এখনো চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। মাগনাতেও কেউ খাসির চামড়া নিচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।

jagonews24

একই এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়িতে পাঁচটি খাসি ও দুটি গরু কোরবানি হয়েছে। লাখ টাকা দামের দুটি গরুর চামড়া ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। বাকি পাঁচটি খাসির চামড়া কোনো ফড়িয়া ব্যবসায়ী কিনতে চাচ্ছেন না। তাই, জোর করে ফরিয়াদের দিয়ে দিয়েছি।

৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সুজিত রবিদাস বলেন, ১০টি খাসির চামড়া কিনেছি ৪০ টাকায়। খাসির চামড়া বিক্রি করতে পারি না। তাই, এমন দামে কিনেছি।

৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, শম্ভুগঞ্জ বাজারে চারটি গরুর চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে চারটির দাম ১৫০০ টাকা বলেছিল, কিন্তু বিক্রি করিনি। বাজারে নিয়ে ওই চারটি চামড়া ১৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

ফড়িয়া ব্যবসায়ী মইজউদ্দিন বলেন, দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়া ৫০০ টাকা, এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকার চামড়া ৩০০ টাকা, ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ২৫০ টাকা, ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া ২০০ টাকা করে কিনেছি। বিক্রি করতে পারব না ভয়ে খাসির চামড়া কিনছি না। কেউ জোর করে দিলেও নিচ্ছি না।

jagonews24

আরেক ফড়িয়া ব্যবসায়ী সুনীল ঋষি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার চামড়া কিনেছি। আমার আরও লোকজন চামড়া কেনার জন্য মাঠে আছে। এবছর পাঁচ লাখ টাকার চামড়া কিনব।

তিনি বলেন, এক থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামে কিনেছি।

সুধাংশু নামে আরেক ফড়িয়া ব্যবসায়ী বলেন, একটা খাসির চামড়া ১০ টাকা করে কিনে লবণ লাগাতে হয় ৩০ টাকার। বাজারে সেই চামড়া তুললে ১০ টাকাও দাম বলে না। তাই, এবার খাসির চামড়া কিনছি না। কারণ, খাসির চামড়া কিনে নিজের শ্রমের দামও পাওয়া যায় না।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরআর/জিকেএস