ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঢাকার যানজটে মাদারীপুর থেকে অফিস করার স্বপ্ন অধরা

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ২৫ জুন ২০২৩

পদ্মা সেতু চালুর পর মাদারীপুরের অনেকেই ভেবেছিলেন প্রতিদিন ঢাকায় গিয়ে অফিস করবেন। কিন্তু রাজধানীর ভেতরে যানজটের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই অনেকেই সপ্তাহে একবার আসছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলার সৈয়দারবালী এলাকার সাইদুর রহমান ঢাকার ডেমরায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আমার পরিবার মাদারীপুর থাকে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর প্রথমে ভেবেছিলাম মাদারীপুর থেকে প্রতিদিন অফিস করবো। কিন্তু সেতু দিয়ে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় ঢুকতে দুই ঘণ্টার মতো লাগলেও ভেতরের যানজটের কারণে কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। তাই প্রতিদিন না গিয়ে সপ্তাহে একবার আসা-যাওয়া করি। তবে ঢাকায় যানজট না থাকলে মাদারীপুর থেকে প্রতিদিন অফিস করা সম্ভব হতো।

মাদারীপুর হাজির হাওলা গ্রামের ছেলে মো. জাকারিয়া হোসেন। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকেন। জাকারিয়া বলেন, ঢাকায় থাকতে আমার ভালো লাগে না। গ্রামের ছেলে, তাই গ্রামেই থাকতে চাই। পদ্মা সেতু হওয়ার পর ভেবেছিলাম সবাইকে মাদারীপুরের নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো। তারপর প্রতিদিন এসে-গিয়ে অফিস করবো। কিন্তু পদ্মা সেতুর জন্য ছয় ঘণ্টার পথ দুই ঘণ্টা লাগলেও আমার অফিস পর্যন্ত যানজটের জন্য আরও দুই ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। তাই এখান থেকে গিয়ে প্রতিদিন অফিস করা সম্ভব নয়। যে কারণে পরিবার নিয়ে উত্তরায় থাকছি। তবে ঢাকার ভেতরে যানজট না থাকলে অনেকেই প্রতিদিন এসে-গিয়ে অফিস করতেন।

মাদারীপুর শহরের আসাদুজ্জামান, কালকিনি পৌর এলাকার মো. শহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদারীপুরের অনেকের অফিস উত্তরা, ধানমন্ডি, মিরপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায়। পদ্মা সেতুর জন্য দুই ঘণ্টায় ঢাকা ঢুকতে পারলেও যানজটের জন্য কর্মস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে বেশি। তাই প্রতিদিন অফিস করা সম্ভব হয় না।

মাদারীপুরের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা দেশগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক এ বি এম বজলুর রহমান খান বলেন, আমার পরিবার ঢাকায় থাকে। আমার অফিস একটি মাদারীপুরে ও আরেকটি ঢাকায়। তাই আমি প্রায়ই ঢাকা-মাদারীপুর যাতায়াত করি। তবে যানজট না থাকলে অনেকেই নিয়মিতভাবেই প্রতিদিন অফিস করতেন। তাই ঢাকার ভেতরের যানজট কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমআরআর/জেআইএম