মেয়র-কাউন্সিলর দ্বন্দ্ব
ভিজিএফের চাল নিতে গিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভিজিএফের চাল নেওয়ার সময় মেয়র সমর্থকদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ১টার দিকে পৌরভবনের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৯৪ জন হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস চাল বিতরণের তদারকি করছিলেন। এ সময় পূর্ববিরোধের জেরে পৌরমেয়র মনিরুজ্জামান সেখানে গিয়ে কাউন্সিলর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তালিকার বাইরের ব্যক্তিদের চাল বিতরণের অভিযোগ তোলেন। দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মেয়র কয়েকজনকে থাপ্পড় মারেন। এসময় মেয়র সমর্থকরা পিয়াস সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৮-১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ বন্ধ
গুরুতর আহত সোনাপাতিল গ্রামের মনিরুল ইসলাম (২২), মিঠুন আলী (৩৫), রকি আলী (২৫) ও জেলার হোসেনকে (৩০) উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস বলেন, রাজনৈতিক কারণে আমার সঙ্গে মেয়রের বিরোধ রয়েছে। একটি মামলার কারণে মেয়র আমাকে দুই মাস ধরে ভাতা দেননি। তিনি আমার মাধ্যমে ভিজিএফ চাল বিতরণ করতে চান না। আমি জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে বলে আমার ওয়ার্ডের দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র ও তার লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র মনিরুজ্জামান জানান, চাল বিতরণের সময় পিয়াস সমর্থকরা টিপসই বা স্বাক্ষর না দিয়ে একাধিকবার এসে চাল নিতে শুরু করেন। বিষয়টি তাকে জানানো হলে সেখানে গিয়ে পিয়াসের কাছে ঘটনাটি জানতে চাই। এসময় পিয়াস আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, পৌরসভায় ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে কাউন্সিলর ও মেয়রের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/জেআইএম