ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘ভুল চিকিৎসায়’ গর্ভেই মারা গেলো যমজ শিশু

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২০ জুন ২০২৩

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় যমজ দুই নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সোমবার (১৯ জুন) প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২০ জুন) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

শনিবার (১৭ জুন) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মৃত অবস্থায় প্রসব করানো হয় যমজ দুই শিশুকে।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপাড়া এলাকার বাবলার স্ত্রী তাসমিন আকতারকে গত ১৪ জুন দেবীগঞ্জ হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. হাসনাত তানজিলা তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। তিনি রিপোর্ট দেন তার গর্ভে সন্তানের অবস্থান ভালো রয়েছে। এ সময় ডা. তানজিলা এইচপিসি ডিএস (৫০০ এমজি) নামক একটি ইনজেকশন প্রসূতির শরীরে পুশ করেন। তারপর থেইে তার জরায়ু থেকে পানি ও রক্ত ঝরতে থাকে।

এ সময় ডা. তানজিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছে এবং খাওয়ানোর পর ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরদিন আবারো ডা. তানজিলাকে ফোন করা হলে উল্টো রোগীর স্বজনদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন।

পরদিন ১৮ জুন প্রসূতিকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানাকার চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তার পেটে যমজ সন্তান রয়েছে এবং পানি স্বল্পতায় নবজাতক দুটি মারা গেছে।

তাৎক্ষণিক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পেটে থাকা যমজ দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় বের করা হয়। বর্তমানে ওই নারী সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রসূতির স্বামী মো. বাবলা জানান, দেবিগঞ্জের হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বহীনতা এবং ডা. তানজিলার ভুল চিকিৎসার কারণে যমজ শিশু দুটি মারা গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হিউম্যান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল কাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগী আমার এখানে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। পরে তারা বাসায় ফিরে যান। এরপর কী হয়েছে আমি আর জানি না।

সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. রেজাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সফিকুল আলম/এফএ/এমএস