নেইমারের দাম ১০ লাখ, মেসি বিক্রি হবে ১২ লাখে
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকায় অবস্থিত আলী এগ্রো ডেইরি ফার্ম। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফার্মটির সবচেয়ে বড় গরু ও মহিষের নাম রাখা হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় দুজন খেলোয়াড়ের নামে। আড়াই বছর বয়সের ভারতীয় শাহিওয়াল জাতের গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘নেইমার’। আর নিলিরাভি জাতের মহিষটির নাম রাখা হয়েছে ‘মেসি’।
নেইমারের দাম হাকাঁ হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। গায়ের রঙ সাদা। ১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার গরুটির ওজন ২৫ মণ। মেসি নামের ৩০ মণের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। কুচকুচে কালো-বাদামি রঙের মহিষটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। প্রতিদিন নেইমার মেসির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুসি, সবুজ ঘাস এবং খড়।
ফার্মটির পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, তাদের ফার্মে ব্রাহমা, সিংদী, শাহিওয়াল, নেপালি বলদ, দেশাল, ফ্রিজিয়ান জাতের এক হাজারও বেশি গরু লালন-পালন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুম্বা, ভেড়াও রয়েছে। গরুগুলো যত্ন নেওয়ার জন্য রয়েছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। নেইমার ও মেসি নামের ফার্মের বড় দুটি গরু ও মহিষকে দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন। অনেকে ছবি তুলছে। আবার অনেকে পশুগুলোর ভিডিও ধারণ করছে।
আলী এগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক সৈকত আলী রনি বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে আমার ফার্ম থেকে এক হাজার গরু-মহিষ বিক্রির টার্গেট রয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই গরু কিনে ফার্মে রেখে যাচ্ছেন। বিক্রি হওয়া পশুগুলো ঈদের তিনদিন আগে ডেলিভারি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ফার্মে তিন লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। আশা করছি, গতবারের তুলনায় এবার আমরা আরও বেশি গরু বিক্রি করতে পারবো।
ফার্মটির বড় দুটি পশু মেসি ও নেইমারের দামের বিষয়ে সৈকত আলী বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে দাম কিছুটা কম রাখা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার কোরবানির টার্গেট এক লাখ। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খামারিরা ছাড়াও কৃষকরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করছেন।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসআর/এমএস