ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচ-আদা-রসুনের দাম

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ১৯ জুন ২০২৩

রাজশাহী সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা, রসুন ও কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ব্যবসায়ী বলছেন, আমদানি ও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

রোববার (১৮ জুন) রাজশাহীর বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও এই আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় আদা ১৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, সেটি গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহে ব্যবধানে কাঁচামরিচে দাম ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নগরীর মাস্টারপাড়ার আড়তদার শহিদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি প্রতিকেজি ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ার করণে আদা ও রসুনের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি।

Raj-3.jpg

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী নিউ মার্কেট এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, আড়তদাররা পাইকারিতে আদা, রসুন ও মরিচের দাম বেশি রাখছে তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে পাইকারিতেই ১০ থেকে ১৮ টাকা বেশি দাম রাখা হচ্ছে।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের কাঁচামরিচ কিনতে আসা ইসমতআরা বেগম বলেন, আমাদের রান্নায় ব্যবহার্য নিত্যপণ্যের মধ্যে একটা কাঁচামরিচ। এছাড়া আদা-রসুন তো আছেই। তবে এগুলোর দাম গত এক মাস থেকে বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঈদ আসলেই আদা-রসুনের দাম বেড়ে যায়। কেন বাড়ে সেটা কেউ বলতে পারে না। এগুলো ছাড়া আবার রান্নাও হয় না। তাই বাধ্য হয়েই কম করে হলেও কিনতে হয়।

এদিকে, রাজশাহীতে মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি। গত সপ্তাহে ছিল ৪৬ টাকা হালি। এছাড়া সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা হালি। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৫৪ টাকা হালি।

Raj-3.jpg

বিজ্ঞাপন

এছাড়া মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। লাল সোনালি মুরগি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এছাড়া পাতিহাঁস পাওয়া যাচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি।

এদিকে, অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭২০ ও খাসি এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি, বাগদা চিংড়ি ৮০০, গলদা চিংড়ি এক হাজার , মাঝারি চিংড়ি ১৩০০, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০, টেংরা ৬০০, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০, পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০, চাষের কই ৫৫০, দেশি কই ৬০০, বড় তেলাপিয়া ২৫০, ছোট তেলাপিয়া ১৫০, রুই ২৫০, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

এই সপ্তাহে সবজির দামও কমেছে। কার্ডিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি, দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। এই সপ্তাহে পটল ৩৫ টাকা কেজি, লাউ ২৫-৩০ টাকা পিস, কচু ৫৫ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, ঢ্যাঁড়স ৩৫, করলা ৪০, শশা ৪০, বরবটি ৪০, ঝিঙে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজিই ৫৫ থেকে ৬০ টাকার কাছাকাছি দরে বিক্রি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের আমদানি কম। স্থানীয় মরিচ দিয়েই বাজার চলছে। যার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এছাড়া আদা আমদানি কম ও গরমে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আশা করছি, দাম কমে যাবে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমআরআর/এমএস

বিজ্ঞাপন