সাংবাদিক নাদিম হত্যা
চেয়ারম্যান বাবুসহ চারজনকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ চারজনকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
রোববার (১৮ জুন) ভোরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভোরে চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজনকে থানায় আনে র্যাব। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এরআগে, শনিবার (১৭ জুন) পঞ্চগড় থেকে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ তিনজন ও বগুড়া থেকে রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান বাবুসহ ২২ জনের নামে মামলা
সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১০টায় তার মরদেহ পৌর শহরের বাসায় আসে।
আরও পড়ুন: ‘আমার পোলাডারে বাবু চেয়ারম্যান মাইরা ফালাইছে’
শুক্রবার সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নুর মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা ও গুমেরচর জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ি নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নে গুমেরচরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি মোড় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। এ ঘটনায় আরও অনেকে থাকতে পারেন। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/এমএস