১৫শ কেজির কালোপাহাড়ের দাম ২৫ লাখ
নাম তার কালোপাহাড়। প্রতিবেলা খাবার খায় ৭০ কেজি। ২৪ ঘণ্টা থাকে ফ্যানের নিচে। গোসল করানো হয় তিন বেলা। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশাল আকৃতির এই মহিষ। প্রায় ৩৭ মণ ওজনের কালোপাহাড় এবার ঈদে সারাদেশের সবচেয়ে বড় মহিষ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। পশুটি লালন পালন করছে দেশের অন্যতম আধুনিক এগ্রো খামার ডাচ ডেইরি লিমিটেড।
সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সাতঘড়িয়া এলাকায় খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ৬ ফুট উচ্চতা আর বিশাল দেহের অধিকারী মহিষ কালোপাহাড়। জাফরাবাদী জাতের মহিষটির ওজন কেজির হিসাবে প্রায় ১৫শ কেজি। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য এর পরিচর্যা করছেন বাগেরহাটের রাখাল আলামিন। খাবারের পর গোবর পরিষ্কার ও গোসল করানো হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। শেডের নিচে লোহাবেষ্টিত কক্ষে রাখা হয়েছে মহিষটি। প্রতিদিনই মহিষটি দেখতে খামারে আসছেন ক্রেতাসহ বিভিন্ন মানুষ।
খামারের সেলস ম্যানেজার নাইম জাগো নিউজকে জানান, ভারত থেকে আনার পর ৫ বছর ধরে পরম যত্নে বড় করা হয়েছে মহিষটি। ২৪ ঘণ্টা ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাওয়ানো হয় ভুট্টাগাছ, খড়-কুঁড়া, ভুসির মিশ্রণে তৈরি সাইলেজ নামের বিশেষ গো-খাদ্য। দেখাশোনার জন্য আছেন দুজন লোক। স্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয় তিন বেলা।
বিশেষ যত্নে লালন-পালন করায় মহিষটি আকৃতিতে এতবড় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কর্তৃপক্ষের আশা রেকর্ড ওজনের পশুটি বিক্রি হবে রেকর্ড দামে।
খামারের চিকিৎসক মোস্তফা কামাল জানান, এটাকে আমরা লালন-পালন করছি। ২৪ ঘণ্টাই দেখভাল করা হচ্ছে। ঠিকমতো ভ্যাকসিনেশন, কৃমিনাশক করা হয়েছে। কাউ কমফোর্টের কথা চিন্তা করে ২৪ ঘণ্টা ফ্রেশ বাতাসের ব্যবস্থা করা আছে, কারণ মহিষের অনেক গরম। একইসঙ্গে প্রতিদিন একাধিকবার একে গোসল করানো হয়।
ডাচ ডেইরি লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার আসিফ মৃধা বলেন, কালোপাহাড় নামকরণের একটি কারণ হলো এর উচ্চতা অনেক। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এজন্য যে এটির লাইভ ওয়েট ১৫০০ কেজি। এত বেশি ওজনের কোনো মহিষ কোনো খামারে নেই। এজন্য এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মহিষ।
তিনি আরও বলেন, কালোপাহাড়ের পাশাপাশি আমাদের আরেকটা মহিষ আছে সেটির নাম কালোমানিক। সেটির ওজন ১৩০০ কেজি। ওর চোখটি খুব সন্দর, মানিকের মতো। এজন্য সেটির নাম কালোমানিক। দুটির দাম ২৫ লাখ টাকা করে ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমাদের আশা বড় মহিষটি ২৫ লাখেই বিক্রি হবে।
এফএ/এএসএম