বরিশালের তালের শাঁসের কদর বেড়েছে দিনাজপুরে
তীব্র গরম ও তাপদাহের কারণে দিনাজপুরে বেড়েছে বরিশালের তালের শাঁসের কদর। শহরে প্রায় ১০০ জায়গায় বসা ভ্রাম্যমাণ তালের শাঁসের দোকানে সব সময়ই লেগেই থাকে ক্রেতাদের ভিড়।
শহর আনাচে-কানাচে বসেছে ভ্রাম্যমাণ তালের শাঁসের দোকান। গরমে একটু স্বস্তি পেতে ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে তালের শাঁস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে তালের শাঁস কিনতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী জয়নব বানু সাথী জাগো নিউজকে বলেন, গরমে একটু স্বস্তি পেতে ৪০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই।
আরেক ক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, একটি তালের শাঁস ১০ টাকা দিয়ে কিনেছি। প্রচণ্ড তাপদাহে এটি শরীরকে শীতল করে। খেতেও বেশ ভাল লাগে। তাই সুযোগ পেলেই কিনে খাই।
আরও পড়ুন: বরিশালে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি
জিলা স্কুলের সামনে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়ান জাগো নিউজকে বলেন, বাড়িতে বোন মৌমিতা তালের শাঁস খেতে চেয়েছে। তাই ৫০ টাকায় ১০টি শাঁস কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।
গোর- এ শহীদ বড় ময়দানে জিরো কিলোমিটারের কাছে তালের শাঁস বিক্রেতা মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি। প্রতিটি তালে ৩-৪টি করে শাঁস থাকে। ছোট শাঁস ৫ টাকা, আর বড় শাঁস ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৪০০/৫০০ শাঁস বিক্রি করা যায়। এ তালগুলো বরিশাল থেকে আসে। দিনাজপুরে নজরুল ইসলাম এবং আব্দুস সামাদ নামে দুইজন ব্যবসায়ী বরিশাল থেকে ট্রাকে করে এই তাল দিনাজপুরে নিয়ে আসেন।
তাল ব্যবসায়ী মালিক নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তিনি মূলত ডাবের ব্যবসা করে থাকেন, তালের মৌসুমে বরিশালে অনেক তাল পাওয়া যায়। তাছাড়া আগের মতো লোকজন পাকা তাল খেতে চায় না। তাই আমি কাঁচা অবস্থায়ই এখন পর্যন্ত ৫০ ট্রাক তাল নিয়ে এসে পাইকারি বিক্রি করেছি। সারা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বরিশালের তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টয়লেটের হাউজ খননের সময় মিললো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড
দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পানি রয়েছে। সেই সঙ্গে আঁশ তো রয়েছেই। গরমে এটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। তবে রাস্তার ধারে খোরা পরিবেশে যাতে করে ধুলো বালি না পড়ে সেদিকে বিক্রেতাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
এমদাদুল হক মিলন/জেএস/এমএস