ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা

কুমিল্লায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আরও ৯ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

জেলা প্রতিনিধি | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

তীব্র গরমে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়ার সময় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৯ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কানড়া মুকুল নিকেতন স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কুমিল্লার আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক সোমেশ কর চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ক্লাস চলাকালে অসুস্থ হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

অসুস্থরা হলেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইয়াকুব, মো. ইউসুফ, আলিজা আক্তার, নবম শ্রেণির ছাত্রী তারিন আক্তার, আঁখি আক্তার, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত আক্তার এবং স্কুলের সহকারী শিক্ষক মার্জিয়ারা বেগম। অন্য দুই শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। 

তাদের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দশম শ্রেণির ছাত্রী আলিজা আক্তারকে আশঙ্কাজন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গরমে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নির্দেশনা অমান্য করে কানড়া মুকুল নিকেতন স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অর্ধবাষির্কী পরীক্ষা নিচ্ছিল।

মুকুল নিকেতন স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানায়, প্রচণ্ড গরমে সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: গরমে আরও ২১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমজন অসুস্থ হওয়ার পর বাকিরা সাইকোলজিক্যাল কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে মুকুল নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম