ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোনা | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩

নেত্রকোনার বারহাট্টায় শ্রেণিকক্ষের মাকড়সার জাল পরিষ্কার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে এক শিক্ষার্থী। রোববার (৪ জুন) দুপুরে ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের যশমাধব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম তাহিরা তাবাসসুম খান নিরমা। সে ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং যশমাধব গ্রামের রাশেদুল হাসান খান ইবনের মেয়ে। গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, আমরা কয়েকজন বান্ধবী মিলে আমাদের ক্লাসরুম পরিষ্কার করছিলাম। আমরা কয়েকটা বেঞ্চ একটার ওপর আরেকটা তুলে উঁচু করে ক্লাসরুমের ছাদের মাকড়সা ও মাকড়সার জাল পরিষ্কার করছিলাম। হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায় নিরমা। আমরা তার মাথায় পানি দিই। কিন্তু পরবর্তীতে বেশি মাথা ব্যথা করায় সে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

আহত শিক্ষার্থীর বাবা রাশেদুল ইসলাম ইবনে জানান, আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বমি করতে থাকে। তখন আমরা কারণ জানতে চাইলে সে জানায় স্যারেরা ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে বলেছিল। তখন সে পড়ে যায় এবং মাথায় ব্যথা পায়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানতে স্কুলে যোগাযোগ করলে জানতে পারি শিক্ষকরা আমার বাচ্চার পড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানেনই না। এখন আমার মেয়ের মাথা ব্যথা কমছেই না। আমি দায়িত্বহীন শিক্ষকদের বিচার দাবি করছি।

যশমাধব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুষার চৌধুরী বলেন, একটা মেয়ে পড়ে গিয়ে একটু আঘাত পেয়েছে বলে জানি।

মাথায় আঘাত পেয়ে বারবার বমি করছে কিনা এমন প্রশ্নে ওই শিক্ষক বলেন, অতিরিক্ত গরমে বাচ্চাটা বমি করেছে। মাথায় আঘাত পেয়ে না।

শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিষ্কারে শিক্ষকদের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

বারহাট্টার উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করা শিক্ষার্থীদের ক্লাসেরই একটি অংশ। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকদের সেখানে উপস্থিত থেকে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করানো উচিত ছিল। শিক্ষকরা উপস্থিত না থাকাটা অবশ্যই তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে শুনেছি এখন শিশুটির অবস্থা কিছুটা ভালো।

এইচ এম কামাল/এফএ/জেআইএম