প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ক্যাম্পেইন
কুমিল্লায় প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে অংশ নেয় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সচেতনতায় কুমিল্লায় প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে নগরীর সিটিপার্কের উত্তর গেট থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে নগরীর ধর্মসাগরপাড়, সিটিপার্ক, সার্কিট হাউজ রোড, রাজগঞ্জ ও কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
‘পরিবেশ বাঁচলেই বাঁচবে পৃথিবী’ এ স্লোগানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ক্যাম্পেইনে অংশ নেন প্রায় ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যতিক্রমী প্রচারণা
ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া আবুল বাশার নামের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্র বলেন, প্রাণ-আরএফএল ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের উদ্যোগের কথা শুনেই এতে অংশ নিয়েছি। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। পরিবেশ রক্ষার কাজে অংশ নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া প্রাণ-ফ্রুটু গ্রুপের কুমিল্লার এজিএম মো. রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় বছরব্যাপী আমাদের কার্যক্রম থাকে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য যেন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় সে জন্য আমরা এ কাজটি করছি।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। এটা যেন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার। দিবসটি উপলক্ষে আমরা সাধারণ মানুষকে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সচেতনতা তৈরি করছি।
আরও পড়ুন: পর্যটন জোনের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন প্রাণ-আরএফএলের কর্মীরা
প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার টন ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। যা দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য। এতে করে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ফেলনা জিনিসও সম্পদে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশের ২৪ জেলার ৫৮ স্থানে এ ক্যাম্পেইনে শুরু হয়েছে।
এ সময় প্রাণ-ফ্রুটু গ্রুপের ডিএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, স্পাইস গ্রুপের ডিএসএম মো. শামিম আহম্মেদ, ডিএসএম আনিছুর রহামান ও লাভলু হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এমএস