ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন চাই: ওআইসি মহাসচিব

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ২৯ মে ২০২৩

অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা বলেছেন, ওআইসি সব সময় রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসন কামনা আমাদের। এ জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি মহাসচিব আরও বলেন, গাম্বিয়া সরকার মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে। ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন কাজ করে যাচ্ছে ওআইসি।

OIC Secretary

আরও পড়ুন: ওআইসির নতুন মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা

এ সময় রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওআইসি মহাসচিবকে মিয়ানমারে তাদের জাতিগত স্বীকৃতি, নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, ভিটেমাটি ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণহত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট উদঘাটনে জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে ভূমিকা পালনের আহ্বান

সকালে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন হুসেইন ইব্রাহিম তাহা। কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ও শরণার্থী কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ।

OIC Secretary

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওআইসির মহাসচিব উখিয়া চার নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্র্যাক সেন্টারে পৌঁছান। সেখানে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে রোহিঙ্গা ইয়ুথদের একটি সেন্টারে যান এবং রোহিঙ্গা যুবকদের শিক্ষা কার্যক্রম এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনাচার নিয়ে কথা বলেন। পরে ক্যাম্পে আইইউসিএন পরিচালিত একটি সেন্টারে যান এবং সেখানে গাছের চারা রোপণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

ওআইসি প্রতিনিধি দলটি দুপুরে পাঁচ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের একটি লার্নিং সেন্টার এবং রোহিঙ্গাদের তৈরি পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী সেন্টার পরিদর্শন করেন। বিকালে তাদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আরআরআরসি।

সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/এমএস