ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সরকারি সব অফিসে পুষ্টিবাগান: মিটছে সবজির চাহিদা

জেলা প্রতিনিধি | কুষ্টিয়া | প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ২৯ মে ২০২৩

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চন্দনা নামের সরকারি কোয়াটারের সামনে একটি সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। সেখানে শোভা পাচ্ছে শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, চিচিংগা, লালশাক, পুঁইশাক, ডাটা শাকসহ নানা জাতের সবজি। উৎপাদিত এসব সবজি ওই কর্মকর্তাসহ কয়েকটি পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছে।

এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকার নির্দেশনা মোতাবেক তিনি বিষমুক্ত সবজি বাগান করেছেন। অবসর সময়ে তিনি বাগানের পরিচর্যা করেন। তার বাগানে উৎপাদিত সবজি তার ও অন্যের পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছে।

শুধু এই কোয়াটারেই নয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক দপ্তর, দারিদ্র্য বিমোচন দপ্তর, সহকারী কমিশারের কার্যালয়, ইউএনওর বাসভবনসহ পরিষদ চত্বরের অন্তত ১০টি স্থানে রয়েছে এমন হরেক রকম সবজি বাগান। এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারে সকজির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে উপজেলায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করছে।

jagonews24

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বর ছাড়াও কুমারখালী থানা, শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি, বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্প, পান্টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, বসতবাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে পুষ্টিবাগান। সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে তরতাজা সবজি ও ফল।

শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আমিন বলেন, তার কার্যালয়ে আনসারসহ মোট ৪৮ জন কর্মচারী রয়েছেন। তারা সবাই মিলে কুঠিবাড়ি চত্বরে কয়েকটি সবজি ও ফলের বাগান করেছেন। এখন তাদের আর বাজার থেকে সবজি কেনা লাগে না।

বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পতিত জমিতে সবজির চাষাবাদ করছেন। যা তাদের সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্যাম্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। তিনি ক্যাম্পে আগত অনেক মানুষকেই সবজি দিয়েছেন।

jagonews24

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, উপজেলায় ৭৫০টি বাগান রয়েছে। বাগানগুলো পারিবারিক সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে। প্রতিটি বাগানের জন্য তিনি ১৮ পদের সবজি ও ৫ পদের ফলের বীজ, ১০ কেজি করে জৈব ও রাসায়নিক সার, ঘেরার জন্য জাল (নেট) ও পানি দেওয়ার জন্য ঝাজরি প্রদান করা হয়েছে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ক্যাম্পসহ সব জায়গায় পুষ্টিবাগান তৈরি করা হচ্ছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেইলক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।

আল-মামুন সাগর/এফএ/এমএস