ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাষির স্বার্থ দেখে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | পাবনা | প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

আগে চাষির স্বার্থ দেখা হবে, তারপর পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চাষির ঘরে এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। তাই আমদানির সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ায় পেঁয়াজচাষিদের সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে আধুনিক ‘এয়ার ফ্লো’ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। পরে এক চাষি সমাবেশে বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে গুরুত্বপূর্ণ একটি মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ। দেশের মানুষ পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারে না। কৃষি বিজ্ঞানীরা উন্নত জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করছেন। কিন্তু আশ্বিন মাস এলেই পেঁয়াজ নিয়ে সংকট ও রাজনীতি শুরু হয়ে যায়। অনেক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে বিচলিত। পেঁয়াজের দাম যেন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে না যায় তা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা হলে সবাই কিনতে পারবে না। আবার পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার নিচে গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই চাষি ও ভোক্তার স্বার্থ দুটিই দেখা হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ পচে যাওয়া একটি বড় সমস্যা। পেঁয়াজ ঘরে রাখলে ওজনেও কমে যায়। এজন্য চাষিরা তাড়াতাড়ি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। এতে মৌসুমের শেষে পেঁয়াজ সংকট দেখা দেয়। ভারত বন্ধুপ্রতীম দেশ হলেও সংকটকালে তারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তখন বাধ্য হয়ে মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

তিনি বলেন, দেশে এবার ৩৩ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়েছে। তিন লাখ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু তার মানে ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, যে কৃষক শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন করে তাদের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। চাষিরা গত বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য অনেক চাষি এবার পেঁয়াজ চাষ করেননি। এতে উৎপাদন তিন লাখ মেট্রিক টন কম হয়েছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, বিআরসির চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/এএসএম