জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কাপ্তাইয়ের নিসর্গ পড হাউজ
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। সহজে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় আসতে পারেন যে কেউ। কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও বেশ নান্দনিক। তাইতো পর্যটন শিল্পের এই অপার সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে কাপ্তাই উপজেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু কটেজ ও পর্যটন কেন্দ্র। তেমনই একটি ‘নিসর্গ পড হাউজ’। যা এখন ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের কাছে খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
থাইল্যান্ডের পর্যটন স্পট ও কটেজের আদলে নির্মিত এই নিসর্গ পড হাউজগুলোর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এবং এখানে নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে থাকতে সারাদেশ থেকে প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকরা ছুটে আসছেন। কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের শীলছড়ি এলাকায় তৈরি করা হয়েছে এই নিসর্গ রেস্টুরেন্ট ও নিসর্গ পড হাউজ।
চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে কিংবা ঢাকার সাইদাবাদ থেকে বাসে করে সরাসরি আসা যায় কাপ্তাই উপজেলায়। কাপ্তাই উপজেলায় প্রবেশ করার পর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের শীলছড়ি এলাকায় পৌঁছালেই সড়কের পাশে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্রটি। এ পর্যটন কেন্দ্রের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কর্ণফুলি নদী। যা লুসাই পাহাড় থেকে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হয়ে বয়ে গেছে।
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য্য পর্যটক মনকে আরও বেশি আনন্দিত ও উৎফুল্ল করে তুলবে নিমিষে। নীরব প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নদীর বয়ে যাওয়া দৃশ্য এবং হাজারো পাখির কলরব মনকে মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।
কাপ্তাই পড হাউজে বেড়াতে আসা দম্পতি আব্দুল রব ও তানজিনা হক বলেন, আমরা ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছি। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় এই পড হাউজের ছবি দেখেছি, তাই আমরা ফোনে বুকিং করে এখানে ঘুরতে এসেছি। বেশ নান্দনিক এবং দৃষ্টিনন্দন এই পড হাউজগুলো। রাতের বেলা বেশ ভালো লেগেছে। একদম নিরিবিলি পরিবেশের কাছেই ছিলাম, খুবই ভালো লেগেছে।
ফাইজুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, আমি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। বেশ ভালো লেগেছে এখানকার পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য কাছ থেকে উপভোগ করতে পেরেছি। শহরের ধুলাবালি থেকে দূরে সবুজের মাঝে রাত্রী যাপন বেশ উপভোগের ছিল।
নিসর্গ রেস্টুরেন্ট ও পড হাউজের পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, পার্বত্য জেলায় পর্যটনের অপার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু এখানে কোনো পডহাউজ ছিল না। আমরা থাইল্যান্ডের ক্যাটালগের মাধ্যমে এই পড হাউজগুলো নিমার্ণ করি। পর্যটকদের রাত্রী যাপনের সব সুযোগ সুবিধা দিয়েই আমাদের সেবা চালু রয়েছে। এখানে রেস্টুরেন্টও রয়েছে, যেখানে পার্বত্য অঞ্চলের খাবারসহ দেশি-বিদেশি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
নিসর্গ রেন্টুরেন্ট অ্যান্ড পডহাউজের ম্যানেজার মাসুদ তালুকদার জানান, নিসর্গ রেস্টুরেন্টের পাশে গড়ে ওঠা এই পডহাউজে মোট ৯টি কটেজ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি কটেজে ৩ জন থাকার মতো সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা।
এখানকার ৯টি পডহাউজের সুন্দর নামও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো আকাশকুঞ্জ, মেঘদূত, চন্দ্রপাহাড়, সাঝেরমায়া, নদীবিলাস, আকাশনীলা, আসমানীকুটির, ছায়াবিথি, নিঝুম নিরালা। পড হাউজগুলোতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে নিয়ে থাকি। এছাড়া বিভিন্ন সময় নানান রকমের প্যাকেজ সিস্টেমও চালু রয়েছে আমাদের।
এফএ/জিকেএস