মহেশখালীতে মোখার তাণ্ডব, ৩ লবণচাষির মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে তিন লবণচাষির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) সকালে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা হলেন- ওই ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও বারোঘর পাড়ার মৃত মতনের ছেলে মোহাম্মদ আনছার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মীর কাশেম চৌধুরী জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে মোখার ক্ষিপ্ততা বাড়ালে পলিথিন ও লবণ সংরক্ষণে মাঠে যান ৪০-৫০ জন শ্রমিক। বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিদওয়ানকে (৩৫) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উপকূলের আরও কাছে ‘মোখা’, তীব্র হচ্ছে গতি
অন্যদিকে লবণ মাঠে পলিথিন ওঠাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মুহাম্মদ নেছার নামের আরেকজনের। তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় সোনা মিয়া নামের আরেক কৃষককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও এলাকাবাসী রাত সাড়ে ১১টার দিতে লবণ মাঠ থেকে আনছারের মরদেহ উদ্ধার করে।
হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রামের আরও ১০-১৫ জন লবণচাষি এখনো ঘরে ফিরেননি বলে জানান স্থানীয়রা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে তারা মারা গেছেন সেটা সঠিক জানি না। শুক্রবার বিকেলের বৃষ্টিতে লবণ মাঠের কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। আবার কেন তারা মাঠে গেছেন এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জিকেএস