ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সৈকতে ঢেউ বাড়ছে
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) জুমার নামাজের পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। এরপর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। চলে ২০-২৫ মিনিট। পরে আবার ঝলমলে রোদ ওঠে।
কক্সবাজারে বর্তমানে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত চলছে। বইছে মাঝারি বাতাস। সৈকতে ঢেউ বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবলতা ও সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশ শুক্রবার দুপুর থেকে মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। এ অবস্থায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্র ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে সমুদ্রসৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্ক করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের নিরাপদে চলাচলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় দুপুর নাগাদ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার উপকূল থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এজন্য কক্সবাজার বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় কক্সবাজার শহরে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র, কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্য, পানি ও জরুরি সেবায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে মাইকিং করে সতর্ক করা হবে।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম