ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সুন্দরবনে জোয়ারের পানি বাড়ছে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের নদ-নদী এবং খালের পানি। বুধবার রাতের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় এক-দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পায় সুন্দরবনের নদী ও খালে। আর বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরের দুবলা চরে পানি বেড়েছে তিন ফুটের অধিক। অমাবশ্যার গোনের (মরাগোন) সময় জোয়ারের পানির উচ্চতা কম হয়ে থাকে, আর পূর্ণিমার গোনে পানি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি মরাগোনে (অমাবশ্যায়) স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বেড়েছে মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় সুন্দরবন উপকূলে বেশ বাতাস বয়ে যায়। এতে নদীতে প্রবল ঢেউ বেড়েছে। মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বনবিভাগের সব রেঞ্জ, স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল সাবধানে রাখার পাশাপাশি বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদে অবস্থানের নিদের্শনা দিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন>> প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য বনবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের প্রত্যেককে স্ব স্ব কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারসহ শুকনা খাবারও মজুতের জন্য প্রত্যেক অফিসকে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন, বন্যপ্রাণী প্রজনন ও তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সাধারণত মরাগোনে জোয়ারে পানির উচ্চতা কম হয়ে থাকলেও মূলত মোখার প্রভাবে বুধবার রাত থেকে সুন্দরবনের নদী-খালে স্বাভাবিকের তুলনায় দেড় থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোখার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরও বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সাবধানে রাখার পাশাপাশি পযার্প্ত খাবার মজুত রেখে আমাদের সবাইকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় অধিদপ্তর।
আবু হোসাইন সুমন/ইএ