নিম্নচাপের প্রভাব নেই উপকূলে, গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোখা’। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব এখনো পড়েনি। নেই বৃষ্টি কিংবা ঝড়ো বাতাস। উল্টো প্রখর রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন।
সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলেও এখনো অপরিবর্তিত পানির উচ্চতা। বুধবার (১০ মে) সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জোয়ারে পানি স্বাভাবিকের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শিগগির উত্তাল হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল নিম্নচাপ। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে এলাকায় ভ্যানচালক আ. রহিম বলেন, আমরা অনেকদিন আগে থেকেই শুনি বন্যা হবে। কিন্তু যে গরম আর রোদ এতে বাইরে বের হতে পারছি না। ভ্যানও চালাইতে পারি না। বিগত দিনে দেখেছি বন্যা হওয়ার আগে এরকম গরম লাগে।
সগির নামের এক জেলে বলেন, বন্যার কথা শুনি কিন্তু সাগর আগের মতোই পানিও বাড়ে নাই আর সাগর উত্তাল হয়নাই। আমরা এখনো সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছি। তবে আতঙ্ক কাজ করছে আমাদের মধ্যে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত সমুদ্র অপরিবর্তিত আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। ১৪ এপ্রিল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস