ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইউটিউব দেখে শাম্মাম চাষে সফল কৃষক

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ০৩ মে ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্যে বেশ জনপ্রিয় ফল ‘শাম্মাম’। যা বাংলাদেশে ‘রকমেলন’ নামেও পরিচিত। শাম্মাম বিদেশি ফল হলেও এখন এ দেশের মাটিতেও এ চাষ হচ্ছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখে এ শাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন মন্ডল ইসলাম নামে ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষি উদ্যোক্তা।

তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামে। পীরগঞ্জের তেঁতুলতলা এলাকায় ভাতারমারি ফার্মের পশ্চিম পাশে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে শাম্মামের চাষ করছেন তিনি। মালচিং পদ্ধতিতে শাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন মন্ডল। চারা রোপণের ৬০-৭০ দিনে এ ফল সংগ্রহ করা যায়।

কৃষক মন্ডল জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে শাম্মাম চাষ শুরু করেন তিনি। এটির চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় লাভের আশায় এর চাষ শুরু করেছেন। তিন বিঘা জমিতে চাষ করতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ থেকে তিনি ৫ লক্ষাধিক টাকা আয়ের আশা করেছেন। প্রথম প্রথম ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে বিক্রি করেছি। এখন ক্ষেত থেকেই পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

jagonews24

মন্ডলের ক্ষেত থেকে শাম্মাম কিনে ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিক্রি করেন পাইকার জুয়েল। তিনি বলেন, এবছর প্রথমবার আমি শাম্মাম ফলের ব্যবসায় যুক্ত হয়েছি। এখনো স্থানীয়ভাবে এ ফলের বাজার তৈরি হয়নি। তবে ঢাকার বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে। শাম্মাম বা রক মেলন ফলটি সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় বাজারে। আমি ৮০-১০০ টাকা কেজিতে ক্ষেত থেকে ফল কিনেছি।

কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, জেলায় এবার দ্বিতীয় বারের মতো ‘শাম্মাম’ চাষ হচ্ছে। এর আগে গতবার সদর উপজেলার রাহুল রায় নামে এক কৃষক সর্বপ্রথম চাষ শুরু করেন। এবার জেলায় মোট ২ একর জমিতে ‘শাম্মাম’ চাষ হচ্ছে।

jagonews24

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কৃষকরা এ ফলের চাষ বাড়ালে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। তেমনি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে শাম্মাম একটি জনপ্রিয় ফল। আমাদের দেশে এটি নতুন এলেও সুপার শপগুলোতে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। সদর উপজেলার এক কৃষক এর আগেও শাম্মাম চাষ করে ভালো মূল্য ও সাড়া পেয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের আবহাওয়া শাম্মাম চাষে উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে যথাযথ সহায়তা দেওয়া হবে।

এসজে/এমএস