বরগুনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
বরগুনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শফিকুল ইসলাম পনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার আয়লা পতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পনু আয়লা পতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরগুনা থেকে একটি মাইক্রোবাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাকুরগাছীয়া এলাকায় আসে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী। বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পনুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পনুর সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। এরপর পনুসহ আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পনুকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় রুবেল হাওলাদার বলেন, রাত ৭টার দিকে একটা মাইক্রোবাস আসে। ওই গাড়ি থেকে ১০-১২ জন লোক নামেন। তাদের নিয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা পনুকে এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে ওই লোকজন মাইক্রোবাসে পালিয়ে যান।
নিহত সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়ার স্ত্রী আহত ছবি আক্তার বলেন, ২০-২৫ জন লোক রামদা, টেঁটা নিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে৷ আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও ওরা মারধর করে। আমার ছেলে মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না এখন পর্যন্ত।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আয়লা পতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুদ্দিন শানু জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পনুকে ইউপি নির্বাচনের দ্বন্দ্বে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এর আগেও তারা পনুর ওপর হামলা চালিয়েছিল। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যাই। আমরা আহতদের উদ্ধার করে করে হাসপাতালে পাঠাই। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে আমাদের কঠোর অভিযান চলছে।
এসজে/জেআইএম