ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রংপুর

ঈদের পরও কমেনি ব্রয়লার মুরগি-চিনির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ০২ মে ২০২৩

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আলু, মুরগি, চিনি ও পেঁয়াজের। তবে কমেছে বেগুন, শসাসহ কিছু সবজির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাছ-মাংস ও তেল।

মঙ্গলবার (২ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ৩৪০ এবং দেশি মুরগির দাম বেড়ে ৫৭০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ এবং খাসির মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪২-৪৪ টাকা।

মুলাটোল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের আগের রাতে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ঈদের পর কিছুটা কমলেও সেটা স্বাভাবিক নয়। এখন ২৩০-২৪০ টাকা। চাহিদার তুলনায় ব্রয়লার ও দেশি মুরগির সরবরাহ কম থাকায় ঈদের পরও দাম কমছে না।

jagonews24

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্র্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে ৫-১০ টাকা কমে ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, চালকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকা, চিকন বেগুন আগের দামেই ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতার কেজি ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ডাটা ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা, পটল ও ঢেঁঢ়স ৫-১০ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা এবং কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আদা গত সপ্তাহের মতোই ১৯০-২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম বেড়ে ২২-২৫ টাকা থেকে ২৮-৩০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়ে ৫০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা মহসীন মিয়া বলেন, সবজির বাজারে দর ওঠানামা করে আমদানির ওপর। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি কম থাকলে দাম বাড়ে। তবে ঈদের পর শসা ও বেগুনসহ কিছু সবজির দাম কমলেও আমদানি কম থাকায় বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা এবং দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

jagonews24

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৫-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৫৫-৬০ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল বাজারের দোকানি ভুট্টু মিয়া জানান, ঈদের পরও চিনির বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস