ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুর্ভোগ ঘুচলো এলাকাবাসীর

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০২ মে ২০২৩

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া কনক রাইচ মিলের পেছনের খালের ওপর চার বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে দীর্ঘদিনেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছিলেন এলাকাবাসী।

এনিয়ে গত ২৭ মার্চ ‘সংযোগ সড়ক নেই, কাজে আসছে না ৩২ লাখ টাকার ব্রিজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন পরেই শুরু হয় সংযোগ সড়কের কাজ। সম্প্রতি সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

jagonews24

সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় এখন আর আগের মতো দুর্ভোগ নেই। খুব সহজেই একপাশ থেকে অন্যপাশে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে উপস্থিত জনতা জাগো নিউজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ, মনির হোসেন, আব্দুল গফুর ও এরশাদ মিয়া বলেন, সংযোগ সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় মেলান্দহ বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ হয়েছে। এখন আর পণ্য পরিবহনে বাড়তি টাকা গুনতে হয় না। শিক্ষার্থীরাও খুব সহজে স্কুলে যাতায়াত করতে পারছে।

jagonews24

নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিসমত পাশা জাগো নিউজকে বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই কাজে আসছিল না সেতুটি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলার পর রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়। ১০ দিন আগে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা দ্রুত কাজ শুরু করি। এখন খুব সহজেই মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন।

jagonews24

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, সংযোগ সড়ক করে দিয়ে সেতুটি সচল করা হয়েছে। মানুষের কষ্ট দূর হয়েছে।

উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া এলাকার কনক রাইচ মিলের পেছনের খালের ওপর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩১ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের বন্যায় সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/জিকেএস