ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঈদের ছুটিতেও পর্যটকের দেখা নেই সুন্দরবনে

আবু হোসাইন সুমন | মোংলা (বাগেরহাট) | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

রমজানজুড়ে তীব্র দাবদাহ আর ঈদের পর কিছুটা বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় তেমন পর্যটকের দেখা নেই সুন্দরবনে। রমজানে রোজা ও গরমে একরকম পর্যটকশূন্য ছিল সুন্দরবন। এরপর ঈদের ছুটিতে পর্যটকের আনাগোনা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ঈদের দিন শনিবার মোংলাসহ সুন্দরবন উপকূলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকায় লোকজনের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি।

Eid-(9).jpg

বনবিভাগের আশা ছিল, ঈদের পরদিন পর্যটক বাড়বে সুন্দরবনে। কিন্তু ঈদের পরদিন রোববার (২৩ এপ্রিল) ভোর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘলা, হালকা বাতাস ও ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই পর্যটক আশানুরূপ হচ্ছে না।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জাগো নিউজকে বলেন, তীব্র দাবদাহে পুরো রমজান মাসে মাত্র তিনটি পর্যটনবাহী বোট এসেছিল হাড়বাড়িয়ায়। আর ঈদের দিন কোনো পর্যটকই আসেনি। ঈদের পরদিন দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি বোটে মাত্র চারজন পর্যটক এসেছেন।

Eid-(9).jpg

তিনি বলেন, রমজানে লোক আসেনি গরমের কারণে। আশা করেছিলাম ঈদে বেশ লোক হবে, কিন্তু তাও হয়নি। কারণ ঈদের পরদিন বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করায় পর্যটনশূন্য হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রটি।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগে রয়েছে ৮টি পর্যটন কেন্দ্র। সেগুলো হলো করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট-নীলকমল, আন্ধারমানিক, কটকা, কচিখালী, আলীবান্ধা ও দুবলা। যার মধ্যে করমজল সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে হওয়ায় এ কেন্দ্রটিতে সারা বছরই কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। তবে এবার তার ব্যতিক্রম ঘটছে। রমজানে দাবদাহে তেমন পর্যটক আসেনি। ঈদের পরদিন দাবদাহ কমলেও বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকের সাড়া নেই।

Eid-(9).jpg

করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ঈদের দিন শ দুই লোক হয়েছে। আর পরদিন সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় লোকজনের আগমন তেমন একটা নেই। আজ দুপুর পর্যন্ত ৩০০-৪০০ লোক হয়েছে। আশা ছিল দুপুরের আগেই পর্যটকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্ত খুব কম কম লোক আসছে।’

Eid-(9).jpg

তিনি বলেন, আগে পর্যটক আসেনি প্রচণ্ড গরমের কারণে। এখন আসছে না মেঘ-বৃষ্টির কারণে। কারণ মেঘ-বৃষ্টিতে নদী উত্তাল থাকে। ফলে নদীপথে বনে আসা-যাওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

Eid-(9).jpg

মোংলা বন্দর জালিবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের দিন ৩০-৩৫টি ট্যুরিস্ট বোট গিয়েছিল সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। আজ মাত্র ১০-১২টি বোট পিকনিক কর্নার ও ফেরিঘাট থেকে সুন্দরবনে ছেড়ে গেছে।

এসআর/এমএস