ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ

ইফতারেও থাকছে আইসক্রিম

জিতু কবীর | প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

করোনার ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে আইসক্রিম শিল্প। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে চলতি বছর রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আবারো জমে উঠেছে রংপুরের আইসক্রিম বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। ঈদের পর এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

রংপুর অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম শুরু হয়েছে। মানুষ শুধু হাঁসফাঁস করছে। তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে শিশুরা ঝুঁকছে আইসক্রিমের দিকে। এছাড়া সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারেও থাকছে আইসক্রিম।

দেশীয় ব্র্যান্ডের আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইগলু, পোলার, কোয়ালিটি ও লাভেলো অন্যতম। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়েও রয়েছে একাধিক আইসক্রিম কোম্পানি।

রংপুরের পপি আইসক্রিম কোম্পানির কমিশন এজেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল বলেন, রোজার শুরুতে দৈনিক ২-৩ তিন হাজার টাকার বিক্রি হলেও গত এক সপ্তাহ ধরে ১০-১২ হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তার বিক্রিও বেড়েছে।

ইফতারেও থাকছে আইসক্রিম

নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের লাব্বাইক স্টোরের ম্যানেজার লাভলু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আইসক্রিম সাধারণত শীতকালে কম চলে। গরম শুরু হয়েছে। এছাড়া রমজানে রোজা রাখার পর ইফতারেও অনেকে আইসক্রিম রাখেন। গত কয়েকদিন ধরে বিক্রির পরিমাণ দিগুণ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনার কবলে পড়ে দুই বছরে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের অন্যতম ছিল আইসক্রিম। করোনার আগের বছরগুলোতে এ খাতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল কিন্তু করোনার কারণে এই হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে।

গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে দেশে আইসক্রিমের বাজারের আকার ছিল ৭৩০ কোটি টাকার। ২০২১ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪০০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯ সালে আইসক্রিমের বাজারের আকার ছিল ১২৪০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এ বাজারের আকার ছিল ১০০০ কোটি টাকার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে এ বাজারের আকার ২৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।

ইফতারেও থাকছে আইসক্রিম

পোলারের স্থানীয় পরিবেশক সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণত অন্যান্য রমজানে আইসক্রিম তেমন একটা বিক্রি হতো না। কিন্তু এবার বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ২-৩ দিন এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৬-৭ দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

এফএ/জেআইএম