ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বন্ধ থাকে এক্স-রে কক্ষ, ফোন করে ডেকে আনতে হয় রেডিওলজিস্ট

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে কক্ষটি সকাল ১০টার আগে খোলা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০টার পর খোলা হলেও নিজের মোবাইল নম্বর কক্ষের সামনে টানিয়ে দিয়ে চলে যান রেডিওলজিস্ট। ফোন করে ডেকে আনতে হয় তাকে।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেডিওলজিস্ট সুলেখা বৈদ্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন শনিবার (৮ এপ্রিল) দেখা যায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে কক্ষটি বন্ধ আছে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে এলেও সুলেখা বৈদ্যের দেখা মেলেনি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অবশেষে ১০টার পর তড়িঘড়ি করে এসে কক্ষটির তালা খোলেন। বন্ধ কক্ষের ছবি তোলার খবর পেয়ে তিনি জরুরি বিভাগের সামনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মচারীর অভিযোগ, এক্স-রে কক্ষে তালা দিয়ে চলে যান সুলেখা বৈদ্য। প্রায় সময় কক্ষটি বন্ধ থাকে। কক্ষের সামনে তার নম্বর লেখা একটি কাগজ ঝোলানো থাকে। প্রয়োজনে তাকে ফোন করে ডেকে আনতে হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সুমন গৌড়, প্রদীপ সাহাসহ কয়েকজন রোগী বলেন, ‘এক্স-রে করতে এলে দেখা যায় রুমটি বন্ধ। ফোন দিলে তিনি এসে এক্স-রে করে আবার চলে যান। অনেক সময় আসেনও না। এভাবে সরকারি হাসপাতাল চলতে পারে না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেডিওলজিস্ট সুলেখা বৈদ্য জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার জরুরি কাজে ব্যাংকে গিয়েছিলাম। যে কারণে এক্স-রে কক্ষের তালা খুলতে বিলম্ব হয়েছে। অন্যান্য দিনে যথাসময়ে তালা খোলা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, রেডিওলজিস্ট সুলেখা বৈদ্যকে এ বিষয়ে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/এমএস