বরগুনায় ঝিমিয়ে চলছে বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রম
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তবে প্রচারণার অভাবে বেশিরভাগ রোগীই জানেন না এ সেবার কথা। অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কম মূল্যে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য গত ৩০ মার্চ সারাদেশের ১২টি জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সরকার নির্ধারিত ফিতে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এসময় খোলা থাকবে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ। সেখানে সরকার নির্ধারিত ফিতে রোগীরা তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন।
তবে উদ্বোধনের ১০ দিন পার হলেও প্রচার-প্রচারণার অভাবে রোগী আসছেন না। ১০ দিনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক সেবা নিয়েছেন মাত্র ৪০ জন রোগী।
সরেজমিন দেখা যায়, বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের ভিড় থাকলেও রোগী নেই বৈকালিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা বলছেন, তারা জানেন না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার কথা। না জানার কারণে তারা অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজন সজিব আহমেদ বলেন, ‘আমি কলাগাছিয়া এলাকা থেকে এসেছি। অসুস্থ বোনকে বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈকালিক চেম্বারে দায়িত্বরত চিকিৎসক মীনহাজুল রহমান বলেন, প্রচারের অভাবে রোগীর সংখ্যা অনেক কম। তবে এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করছি।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, আমরা সবাইকে ধীরে ধীরে জানানোর চেষ্টা করছি। বেশি প্রচারণা করতে গেলে সরকারের ওপর মানুষের খারাপ ধারণা আসতে পারে। তবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে এসে কেউ যেন ফিরে না যায় সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
এসআর/জেআইএম