ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দেশে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ

উপজেলা প্রতিনিধি | ঈশ্বরদী (পাবনা) | প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৩

দেশে চিনি ও গুড়ের বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয় ছয় লাখ টন। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ১৪ লাখ টন। এ অবস্থায় দেশে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে পাঁচ দিনব্যাপী ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন বক্তারা।

দেশে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ

অনুষ্ঠানে বিএসআরআইয়ের পরিচালক (গবেষণা) কুয়াশা মাহমুদ বলেন, এদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের জন্য বছরে ১৩ কেজি মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হয়। সে অনুযায়ী এদেশে চিনি ও গুড়ে চাহিদা ২০ লাখ টন। এদেশে এক লাখ টন চিনি ও পাঁচ লাখ টন গুড় উৎপাদন হয়। মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

বিএসআরআইয়ের বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ওমর আলী। পরিচালক (গবেষণা) কুয়াশা মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (টিওটি) ইসমৎ আরা।

দেশে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ

বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা সভায় আখের জাত, খরাসহিষ্ণু জাত, বন্যাসহিষ্ণু জাত, লবণাক্ততাসহিষ্ণু জাত, গুড় উৎপাদন জাত, চিবিয়ে খাওয়া জাত, সুগারবিট, তাল ও স্টেভিয়ার জাত, পোকামাকড় দমন, আখের সমন্বিত রোগ দমন, আখের সঙ্গে সাথি ফসল চাষাবাদসহ বিভিন্ন গবেষণা বিষয়ে আলোচনা করেন বিএসআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা।

মহাপরিচালক ড. ওমর আলী বলেন, চিনি ও গুড় এদেশের প্রধান মিষ্টি জাতীয় খাবার। চিনি ও গুড় থেকে তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাবার শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। এছাড়া প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, চলাফেরা করার জন্য সবল, রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর প্রয়োজন। মিষ্টি জাতীয় খাবার প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য।

শেখ মহসীন/এসআর/জেআইএম