বৈকালিক চিকিৎসার শুরুতেই ভৈরব হাসপাতালে রোগীর ভিড়
প্রাইভেট হাসপাতালের সেবা এখন সরকারি হাসপাতালেই মিলছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে। প্রথম দিনই ৪৪ জন রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা.সাইফুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান সবুজ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কাজল, সাবেক জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সুলাইমান, ভৈরব পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান কবির।
হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মো. মিকদাত বলেন, বৈকালিক চেম্বারে স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে পেরেছি। এখন আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হবে না। এতে অর্থের খরচও কমলো।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি হাসপাতালে এখন বেসরকারি হাসপাতালের সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। ৩ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৪৪ জন রোগী বৈকালি চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অর্থোপেডিক্স, মেডিসিন, শিশু, সার্জারি, কার্ডিওলজি, নাক, কান, গলা ও গাইনি চিকিৎসকরা সেবা দেবেন। পাশাপাশি স্বল্প খরচের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাতে পারবেন রোগীরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা শুরু হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত ছয় দিন এ সেবা চালু থাকবে। সেখানে সরকারি নির্ধারিত ৩০০ টাকার ফির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন রোগীরা।
শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ ভুঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে যে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা চালু করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় দেশের ৫২টি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বৈকালিক চিকিৎসা সেবা থেকে চালু হয়েছে।
ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারবেন। এখন আর জনগণকে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হবে না।
রাজীবুল হাসান/এসজে/জেআইএম