এবার জলাতঙ্ক রোগে মারা গেলেন বৃদ্ধ
পাবনার সাঁথিয়ায় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত খবির উদ্দিন মোল্লা (৬০) মারা গেছেন। বুধবার (২৯ মার্চ) উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের পুরানচর গ্রামে তার মৃত্যু হয়। খবির উদ্দিন মোল্লা ওই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
এর আগে ৩ মার্চ খবির মোল্লার শ্যালক একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আব্দুল হাই জলাতঙ্ক রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে বাবলু জানান, দেড় মাস আগে বাবাকে কুকুর কামড় দিয়েছিল। তিনি কোনো ভ্যাকসিন নেননি। উপজেলার ফেঁচুয়ান গ্রামে এক কবিরাজের চিকিৎসা নেন তিনি। বেশ কয়দিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করায় ২৫ মার্চ রাতে তাকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিছু খেতে না পারা, পানি দেখলে ভয় পাওয়া ও অতিরিক্ত লালাক্ষরণের উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা তাকে জলাতঙ্ক রোগী হিসেবে শনাক্ত করেন।
পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মহাখালী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীর সুস্থতার আশা ছেড়ে দেন। স্বজনেরা বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব জানান, তাকে যথাযথ চিকিৎসা করালে হয়ত এমন হত না। কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুকুর কামড়ালে কবিরাজি চিকিৎসা নেওয়া অজ্ঞতা। কামড়ানোর পরপর ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নিতে হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। শনিবার (২৪ মার্চ) যাদের কুকুরে কামড় দিয়েছিল তাদের উপজেলা পরিষদের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আর কোনো এলাকায় কুকুর কামড় দিলে বা কুকুর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা পরিষদে জানাতে বলেন।
আমিন ইসলাম জুয়েল/আরএইচ/জেআইএম