ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন
৮৯৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীতে বসবাসরত ৮৯৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এ সংবর্ধনা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমাদের সব অবস্থান ও সাফল্যের দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা যদি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন না করতেন তবে, এর কিছুই সম্ভব হতো না। তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে আমাদের বসবাস করতে হতো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্ববোধ এবং কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই আমরা প্রতিবছর এ সংবর্ধনা আয়োজন করে থাকি।
তিনি বলেন, আজ ৮৯৯ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি হোল্ডিং ও পানির কর মওকুফের সিদ্ধান্ত আমাদের আছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ১৮০ বীর মুক্তিযোদ্ধার কর মওকুফ সনদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দুইতলা পর্যন্ত ভবনের নকশা অনুমোদনে বিনামূল্যে আবেদন করতে পারছেন।
মেয়র টিটু বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা আমরা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজ অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস, ছবি ইত্যাদি সিটি করপোরেশনে পৌঁছানোর জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পরে একটি সংকলন প্রকাশ করা হবে।
উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাব-মার্সিবল পাম্প স্থাপনের ফি মওকুফ এবং সিটির নতুন সড়কগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকের নামে নামকরণের ঘোষণা দেন মেয়র। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পৃথক করবস্থান নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী, সচিব অন্নপূর্ণা দেবনাথ, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলররা, জেলা আইনজীবী সমিতির পিপি কবির উদ্দিন ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সেলিম সাজ্জাদ ও মো. আব্দুর রব, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন কালাম, জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি সৈয়দ রফিকুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব সেলিম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবুল কামাল আজাদ ও মো. খালেক শিকদার, রেলওয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডার মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরআর/এমএস