ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভৈরবে অবাধে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন

রাজীবুল হাসান | ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৩

ভৈরবে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় সয়লাব। সরকারি বিধিনিষেধ না মেনেই গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। বাজারজাত হচ্ছে লাখ লাখ পলিথিন। ফলে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। তাই এসব অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারাদেশে পলিথিন উৎপাদন বাজারজাত নিষিদ্ধ থাকলেও ভৈরবের কমলপুর, নিউটাউন, আমলাপাড়া, জগন্নাথপুর, ভৈরবপুর, রাণীরবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ১৫-১৬টি পলিথিন কারখানা। এসব কারখানায় প্রতিদিন কয়েকশ মণ উৎপাদিত পলিথিন ভৈরবসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা আশুগঞ্জ, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, অষ্ট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে।

দিন দিন ব্যবহার বাড়ায় শহরে ও গ্রামে এমনকি বাড়ির আশপাশের সড়ক কিংবা ড্রেনে-ডোবায় স্তূপ জমে আছে। দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। যেসব জমিতে মাটির নিচে পলিথিন আছে সেসব জমির মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফলনের বিপর্যয় ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দিন দিন ভৈরবে পলিথিন কারখানা বেড়ে চলেছে। এসব কারখানার উৎপাদিত সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে যত্রতত্র ময়লার স্তূপ আছে। পরিবেশ রক্ষায় এসব পলিথিন কারখানা বন্ধ করতে হবে।’

স্থানীয় সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. শাহেদ জাগো নিউজকে বলেন, যদি ও সরকারিভাবে পলিথিন নিষিদ্ধ আছে। তবু কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিধিনিষেধ অমান্য করে গড়ে উঠেছে পলিথিন উৎপাদনের কারখানা। এসব কারখানায় প্রতি দিন কয়েকশ মণ নান ধরনের পলিথিন তৈরি হচ্ছে। এসব পলিথিন বাজারের অলিগলির দোকানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নেই কোনো ধরনের নজরদারি।

সরেজমিনে গিয়ে কোনো মালিকদের কারখানায় পাওয়া যায়নি। তবে রোজা প্যাকেজিংয়ের পরিচালক শাহিন বলেন, সম্পূর্ণ বৈধ কাগজ পত্র না থাকলেও আয়কর ও পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা পরিচালনা করছি।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, পলিথিন কারখানাগুলোতে দিনে বন্ধ রেখে রাতে উৎপাদন করা হয়। তবে এসব কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে অভিযান চালানো হবে। কারখানাগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এসজে/জেআইএম