ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাত বদলেই বাড়ে সবজির দাম

জেলা প্রতিনিধি | ফেনী | প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩

ফেনী খাজা আহাম্মদ পৌর তরকারি আড়তে বেগুন পাইকারিতে ৫৫ টাকা কেজি। একই বেগুন আড়ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ফেনী বড় বাজারে এলেই তা বেড়ে হয়ে যায় ৭০ টাকা।

একইভাবে শিম পাইকারিতে ৭৫ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৮৫, ২০ টাকার মুলা ৩০, ৫০ টাকার ফুলকপি খুচরা বাজারে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দামের এ ব্যবধান প্রায় সব ধরনের শাকসবজিতে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সবজি পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আনতে গাড়ি ভাড়া, লেবার খরচ, পলিথিনের ব্যাগ কেনার খরচ, জায়গা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ আরও অনেক খরচ থাকে। এসব খরচ তুলে লাভ করতে হলে বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

বিক্রেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, পাইকারি দরে পণ্য কেনার পর বিভিন্ন খরচ বাবদ বাড়তি ১৫ শতাংশ ব্যয় যুক্ত হয়। তবে এ খরচকে অজুহাত বানিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম রাখেন।

হাত বদলেই বাড়ে সবজির দাম

গ্রামেগঞ্জে ভ্যানগাড়িতে করে তরকারি বিক্রি করেন আবু তাহের। তিনি ফেনী পৌর তরকারি আড়তে পাইকারিতে তরকারি কিনতে এসেছেন। ২০ টাকা কেজি দরে মুলা কেনেন তিনি। দেখা গেল, ভ্যানগাড়িতে করে ওই মুলা বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়।

আবু তাহের জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন এখান থেকে সবজি কিনে গ্রামে বিক্রি করি। এরমধ্যে অনেক পচা থাকে। ফেলে দিতে হয়। যে কারণে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’

আবুল কালাম নামের ফেনী বড় বাজারের একজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘৩০ টাকা দিয়ে কিনলে প্রতি কেজিতে তিন টাকা খরচ করতে হয়। বিক্রির সময় অনেক ক্রেতা খুচরা টাকা কম দেয়। বস্তা কিনলে তারমধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি নষ্ট থাকে। গাড়ি ভাড়া, লেবার খরচ সব মিলিয়ে হিসাব করেই দাম নির্ধারণ করতে হয়। যে কারণ দাম পাইকার বাজার থেকে বেশি রাখতে হয়।’

হাত বদলেই বাড়ে সবজির দাম

ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রেতা জানে আলম বলেন, ‘সকালে ফুলকপি নিয়েছি এক বস্তা। তার মধ্যে সাত কেজি পচা বাদ দিতে হয়েছে। কিন্তু এগুলো টাকা দিয়েই কিনেছি। এভাবে প্রতিদিন বাদ দিতে হয়। নিজের পরিশ্রম আছে। সবমিলিয়ে দাম নির্ধারণ করতে হয়।’

ক্রেতা আরিফুর রহমান বলেন, বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো দাম আদায় করছেন। আমরা বাধ্য হয়ে কিনছি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ থাকলেও এসব দেখার কেউ নেই।

হাত বদলেই বাড়ে সবজির দাম

আবু সাঈদ রুবেল নামের একজন প্রান্তিক কৃষক বলেন, এসব সবজি তাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে খুচরা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে পাইকাররা লাভবান হলেও লোকসান হচ্ছে ফসল উৎপাদনকারী কৃষকের।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক কাওছার মিয়া বলেন, ক্রয়কৃত মূল্যের চাইতে অস্বাভাবিক দামে পণ্য বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শাকসবজির বাজারে চড়া দামের বিষয়ে অভিযোগ পেলে অভিযান চালানো হবে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/জেআইএম